নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারী / ০১ / ২০২৩
পুরাতন বছর বিগত হল গত মধ্যরাতেই।হল নতুন বছরের আগমন। ২০২৩-এর সাথে নতুন পথচলা শুরু। পুরাতন কে বিদায় জানিয়ে সকল সাল-তামামির হিসাব-নিকাশ শেষ। পুরাতন বছর ২০২২ সালকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতাও শেষ।
অনেক চড়াই উতরাই এরপর ২০২২ সাল আমাদেরকে দিয়েছে নবযুগের একটি সূচনা। করোনা কালের ক্রান্তিলগ্ন কাটিয়ে ২০২২ সাল ছিল নতুন করে সবকিছু শুরু করার একটি প্রথম সিঁড়ি। অনেক সফলতার মধ্যে দিয়ে ২০২৩ সালের নতুন সেই সিঁড়ি অতিক্রম করার সামর্থ্য হয়েছে বাংলাদেশের।
ভেঙ্গেচুরে খানখান হয়ে যাওয়া সব কিছু নতুন করে গোছাতে গিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে মানুষকে। তাইতো ২০২২ বছরটিকে বিদায় জানাতে মন চাইছে না কারোরই। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে ব্যাঘাত ঘটানো কি আর সাধ্য আছে আমাদের?
এ জন্য ২০২২ কে বিদায় জানানোই বুদ্ধিমানের কাজ। হাসিমুখে বিদায় হলো ২০২২ সাল। আর তারই দেখানো পথে এগোতে হবে আগমনী নতুন কে নিয়ে। তাইতো বলতে হয়, রূপ রস ও গন্ধময়, পৃথিবী হতে বিদায় লয়, পুরাতন বর্ষ শেষ হয়। পুরাতন বিদায় নেবে, নিতে হবে, এটাই স্বাভাবিক।
কবির ভাষায় বলা যায়, মুকুলিত সব আশা, স্নেহ প্রেম-ভালোবাসা, জীবনে চির স্মৃতি হয়ে রয়, পুরাতন বর্ষ,বিদায় লয়, নববর্ষের আগমন হয়।
কাল ভোরটি হবে নতুন বছরের নতুন দিগন্তের চূচনা।
স্বাগতম ২০২৩
নতুনকে জায়গা করে দেয়ার জন্যই পুরাতন ছেড়ে যায় তার স্থান। ২০২২ আজ রাতেই গত হয়ে যাবে। এরই সাথে সাথে ২০২৩ আগমনের জন্য রাত শেষ হবার অপেক্ষা। আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নতুন প্রজন্ম। কেননা পরিবর্তনই নতুন কিছু বয়ে নিয়ে আসে। পরিবর্তন ছাড়া নতুন কিছু সম্ভব নয়।
পূর্বের গ্লানি, দুঃখ, ভুল-ভ্রান্তি মুছে নতুন করে শুরু করার নামই উদ্যম। আর উদ্যোমিদের জন্যই উজ্জ্বল আগামী। কে না চাইবে একটু ঝকঝকে, পরিষ্কার আগামীর সাক্ষী হতে?
তাইতো নতুনকে স্বাগত জানাতে উদগ্রীব হয়ে আছে পৃথিবীবাসী। তাইতো বলাই যায়, নতুন বছর আসুক নিয়ে নতুন নতুন আশা, পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিক শুধুই ভালোবাসা, হানাহানি ভেদাভেদ সবকিছু ভুলি, এসো সবাই মিলে মিশে সৎ পথে চলি।
ঘড়ির কাঁটা থেমে নেই। প্রতিটি মুহূর্তেই জীবন থেকে একটি একটি করে সেকেন্ড হারিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তেমনি পরিসমাপ্তি ঘটলো ২০২২। ক্যালেন্ডার বদলানো হয়ে গেছে। বিদায়ী বছরটি শুরু হয়েছিল একটু বুক ভরা আশার আলোর স্বপ্ন নিয়ে। ২০২২ সালের নতুন সূর্যকে স্বাগত জানানোর সময় বাংলাদেশ ছিল বেশ দৃঢ় অবস্থানেই। দানবীয় রূপে আসা মরণব্যাধি করোনাভাইরাস সফলভাবে মোকাবিলার পর বাংলাদেশ ঠিকই ছুটছিল উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায়। কিন্তু হঠাৎ করেই রাশিয়া-ইউক্রেণ যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় থমকে দাঁড়ায় গোটা বিশ্ব। বিশ্বের বাইরে না বাংলাদেশও। কিছুটা প্রভাব তো পড়েছেই। কিন্তু বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও অর্থনীতির চাপ সচল রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে।
ভোরের পূর্বাকাশে দেখা দিল নতুন বছরের সূর্য। এসে গেল আরও একটা নতুন বছর। নতুন আশায় বুক বেঁধে নতুন করে পথ চলার ব্রত। কিন্তু, অতীতের বীজেই যে ভবিষ্যতের বৃক্ষ- সে তো আর নতুন নয়। তাই পেছনে ফিরতেই হয়। দেখে নিতে হয়। কেমন গেল, কী মিলল, কী হারাল। আগামীতেই বা কী হবে। এই পেছনে ফিরে দেখাটা পেছনে যাওয়া নয়, আসলে সামনে এগোনোর তাগিদই। কুয়াশা ঘেরা আগামীর পথ হয়তো দেখাবে নতুন দিগন্ত, এই প্রত্যাশা সকলের। সুন্দর-শান্তিময় হোক ২০২৩।
প্রতিটি মানুষের একটিমাত্রই চাওয়া- ‘বিশ্ব হোক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মুক্ত, বন্ধ হোক যুদ্ধ, প্রাণঘাতী, হানাহানি। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভয়হীন প্রাণভরে নিশ্বাস নিক বিশ্বের প্রতিটি মানুষ।’ তাই বিদায় ২০২২, স্বাগত ২০২৩ সাল।