শাবি প্রতিনিধি
ডিসেম্বর / ২২ / ২০২২
শাবি প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক ইয়ুথ ম্যাথ চ্যালেঞ্জ-২০২২ প্রতিযোগিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের ৯ জন শিক্ষার্থী সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ-২২ এর শাবিপ্রবির তত্ত্বাবধায়ক গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে আন্তর্জাতিক ইয়ুথ ম্যাথ চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আমার তত্ত্বাবধানে গতবছর দুইজন অংশগ্রহণ করে পদক পেয়েছিল এবার নয়জন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক বড় অর্জন। ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা আগামীতে আশা করি এই অর্জন আরো বৃদ্ধি পাবে। যার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরও বাড়বে বলে মনে করি।’
শাবিপ্রবি থেকে সিলভার পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন মারুফ, ২০২০-২১ সেশনের মো. রায়হান আহমেদ রাফি। ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মিনহাজ আহমেদ সামি, হাবিবুর রহমান এবং ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়াসেক আল আজাদ অভি, রায়হান ইকবাল, শুভ পাল, নাজমুন নাহার ও আবু শহীদ সালমান।
ম্যাথ চ্যালেঞ্জে ব্রোঞ্জ পদক পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে রায়হান ইকবাল বলেন, আন্তর্জাতিক এ চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জ পদক পাওয়ায় খুবই ভালো লেগেছে। বর্তমান অভিজ্ঞতা থেকে আগামীতে আরো ভালো করার চেষ্টা করবো। ম্যাথ চ্যালেঞ্জে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ম্যাথ চ্যালেঞ্জের শাবিপ্রবির অফিশিয়াল অ্যাম্বাসেডর আবু নাসের শাহ মো. মারুফ আহমেদ বলেন, এটা খুবই আনন্দের যে শাবিপ্রবি থেকে সর্বমোট ৯ জন পদক পেয়েছেন। আমি প্রতিযোগীদের সবকিছু ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা যেহেতু একটা চ্যালেঞ্জিং প্রতিযোগিতা সেহেতু অনেক বিষয় খেয়াল রাখতে হয়েছে। আশাকরি, আগামীতে প্রতিযোগীরা সিলভার ও ব্রোঞ্জের পাশাপাশি গোল্ড মেডেলও অর্জন করবে।
জানা যায়, এবারের আন্তর্জাতিক গণিত চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ৯৮ টি দেশের সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। এতে তত্ত্বাধায়ক হিসেবে ছিলেন ১ হাজার ৩'শ শিক্ষক। এ প্রতিযোগিতাটি কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড, প্রি-ফাইনাল, ফাইনাল এ তিন পর্বে সম্পন্ন হয়। প্রথম দুই রাউন্ড শেষে ফাইনালে মোট ১ হাজার ৮'শ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ফাইনালে ২০টি প্রশ্ন ছিল। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য ১ পয়েন্ট নির্ধারিত থাকে। এ থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে গোল্ড-সিলভার-ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়।