প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সেপ্টেম্বর / ২৬ / ২০২২
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব। হঠাৎ করে উপজেলা শহর ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়া চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন আক্রান্ত পরিবারগুলো। এ রোগে দুই তিন মাসের শিশু থেকে সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগী বাড়ায় আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়েছে অনেম। উপজেলার মাধবপুর বাজারের ফার্মেসি মালিক রাম সিং বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তার ফার্মেসিতে প্রচুর চোখ ওঠা রোগী ভিড় করছেন। আক্রান্তের অধিকাংশ চা শ্রমিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন।
শমসেরনগরের কাইয়ুম মিয়া বলেন, গত দু'দিন ধরে তিনি চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়েছেন তিনি। ভানুগাছ বাজারের করিম মিয়া বলেন, চোখ উঠার পর চোখে কালো চশমা ব্যবহারের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করছেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘চোখ উঠা রোগটি ছোঁয়াচে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। চোখ উঠা নিয়ে বাইরে ঘুরাঘুরি করা উচিৎ না। তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। চোখ উঠা রোগী ২/৩ দিনের মধ্যে সুস্থ্য না হলে উদ্বিগ্ন না হয়ে চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।