স্বাগতম হিজরি নববর্ষ ১৪৪৪

পুণ্যভূমি ডেস্ক

জুলাই / ৩০ / ২০২২

স্বাগতম হিজরি নববর্ষ
ad-spce

স্বাগতম হিজরি নববর্ষ ১৪৪৪। মুসলিম জীবনে হিজরি সনের গুরুত্ব অনেক। মুসলমানদের ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠান, আনন্দ–উৎসবসহ বিভিন্ন বিধিবিধান হিজরি সন তথা আরবি তারিখ ও চান্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। মহররম শব্দের অর্থ সম্মানিত। ইতিহাসে এই মাস বহু উল্লেখযোগ্য স্মৃতিবিজড়িত। সেসব স্মৃতির সম্মানার্থেই এ মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলা হয়। পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২, এর মধ্যে ৪টি মাস সম্মানিত।’ (সুরা-৯ তাওবা, আয়াত: ৩৬) হাদিস শরিফে চান্দ্রবর্ষের ১২ মাসের মধ্যে মহররমকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর মাস’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মহররমের দশম তারিখকে আশুরা বলে। ‘আশুরা’ আরবি শব্দ, এর অর্থ দশম তারিখ। সৃষ্টির শুরু থেকে মহররমের ১০ তারিখে তথা আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

এর ফলে আশুরার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ ৬২ হিজরি সনে কুফার ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে নবীর দৌহিত্র হজরত হুসাইন (রা.)–এর শাহাদত এদিনকে বিশ্ববাসীর কাছে চিরস্মরণীয় ও অমর করে রেখেছে।

আশুরাতেই নভোমণ্ডলের সৃষ্টিকুলের প্রাথমিক বিভাজনপ্রক্রিয়া সূচনা হয়। হজরত আদম (আ.)–এর সৃষ্টি, স্থিতি, উত্থান ও অবনমন—সব ঘটনাই ঘটেছিল আশুরায়। হজরত নুহ (আ.)–এর নৌযানের যাত্রারম্ভ ও বন্যার সমাপ্তিও আশুরাকেন্দ্রিক ছিল। হজরত মুসা (আ.)–এর সমুদ্র অতিক্রমও আশুরা দিবসে হয়েছিল। আশুরা এলে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিনম্র থাকতেন এবং রোজা রাখতেন। (তাফসিরে তাবারি)

সব নবীর আমলেই আশুরার রোজা ছিল। প্রিয় নবী (সা.) মক্কায় থাকতেও আশুরার রোজা পালন করতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দেখতে পেলেন, ইহুদিরাও এই দিনে রোজা রাখে। নবীজি (সা.) তাদের রোজার কারণ জানতে পারলেন—এদিন হজরত মুসা (আ.) সিনাই পাহাড়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত লাভ করেন। এদিনেই তিনি বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কবল থেকে উদ্ধার করেন এবং এদিনেই তিনি বনি ইসরাইলদের নিয়ে লোহিত সাগর অতিক্রম করেন। আর সেই সাগরে ফেরাউনের সলিলসমাধি হয়। তাই ইহুদিরা এদিন রোজা রাখে। মহানবী (সা.) বলেন, মুসা (আ.)–এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তোমাদের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ও অগ্রাধিকারমূলক। অতঃপর তিনি ১০ মহররমের সঙ্গে ৯ মহররম মিলিয়ে দুটি রোজা রাখতে বললেন। হিজরি দ্বিতীয় সনে রমজান মাসের রোজা ফরজ হলে আশুরার রোজা নফল হয়ে যায়। তবে রমজানের রোজার পর আশুরার রোজা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। এ মাসের নফল রোজা ও অন্যান্য ইবাদত রমজান মাস ব্যতীত অন্য যেকোনো মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম। (মুসলিম ও আবুদাউদ)

ad-spce

জাতীয়

ad-spce

সর্বশেষ আপডেট

গুণীদের কদর না করলে কখনোই সমাজে গুণীরা তৈরি হয় না : ব্যারিস্টার মোস্তাকিম রাজা চৌধুরী

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ভারতে সিলেট রত্ন উপাধিতে ভূষিত দেবাশীষ দে পল্লব

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জি কে মাসুক

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

রুকনুজ্জামান চৌধুরীর পিতৃবিয়োগে ব্যারিস্টার মোস্তাকিম রাজা চৌধুরীর শোক

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মাওলানা মুহিব্বুল হকের মৃত্যুতে ব্যারিস্টার মোস্তাকিম রাজা চৌধুরী'র শোক

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত : সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, সাধারন সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বিশ্বনাথে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

১৭৫ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালাতে পারে মোখা, যেসব জেলাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সিলেট লেখক ফোরামের উপদেষ্টা হলেন ব্যারিস্টার মোস্তাকিম রাজা চৌধুরী

জুলাই / ০৬ / ২০২২
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ad-spce