অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিসহ চার দফা দাবি নিয়ে সুনামগঞ্জে
যে পরিবহন ধর্মঘট চলছে সেই সিএনজি ও অবৈধ ইজিবাইকের দখলে সড়কেই। পরিবহন
র্ধমঘটের দ্বিতীয় দিনেও দূরপাল্লার কোন যান বাহন চলাচল করতে পারেনি
সুনামগঞ্জ থেকে। তবে শুক্রবার প্রথম দিন ও শনিবার দ্বিতীয় দিন সুনামগঞ্জ
সিলেট মহা সড়কে চলাচল করছে সিএনজি ও এই অবৈধ ইজিবাইক।
মানুষজন
এখন এই সিএনজি ও অবৈধ ইজিবাইকের উপর ভর করে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে
যাচ্ছেন। কোন বাঁধা সম্মুখীন হচ্ছে না। অথচ এই অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে
ধর্মঘট। মাঝপথে ভোগান্তি পড়েছেন সাধারণ মানুষ ক্ষোভের সাথে জানান বাস
ষ্ট্যান্ড আসা রফিক মিয়া।
তিনি জানান,ব্যবসার কাজে ও
চিকিৎসা জন্যও ঢাকা যেতে চেয়েছিলেন তিনি কিন্তু সুযোগ নেই, দুর পাল্লার
কোন যানবাহন চলাচল করছে না। ফলে আগামী কাল রবিবার যেতে হবে। ফলে চরম
দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সিলেট সহ রাজধানী ঢাকা যাওয়া মানুষজন। অনেকেই সকালে
বাস ষ্ট্যান্ডে ইজিবাইক দিয়ে এসেছেন এসে ফিরে গেছেন এই ইজিবাইকেই।
ইজিবাইক
চালক জমির উদ্দিন জানান,ইজিবাইক না চালালে খাব কি সংসার ছেলেমেয়ের
লেখাপড়ার খরচ সব চলে ইজিবাইক চালিয়ে। আমাদের পেটে লাথি দিয়ে চায় কিছু
স্বার্থ বাদী মানুষ। তবে এই ধর্মঘটের আসল উদ্দেশ্য আমাদের কে নিয়ে না, অন্য
কিছু।
সুনামগঞ্জে
চার দফা দাবিতে ৩৬ঘন্টা জেলা বাস মিনি বাস পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি
ডাকা পরিবহন র্ধমঘট। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ১৯ নভেম্বর
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘন্ট এই পরিবহন র্ধমঘট চলবে। গত
বৃহস্পতিবার(১৭
নভেম্বর) সকালে পরিবহন র্ধমঘটের ডাক দেয় জেলা বাস মিনি বাস পরিবহন মালিক
শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক। দাবি গুলো হলো:
১. সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কের লামাকাজি সেতু থেকে টোল বন্ধ গ্রহন করা।
২. সুনামগঞ্জে রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবৈধভাবে চলা সিএনজি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা গুলো বন্ধ করা।
৩. সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল সংস্কার করা।
৪.সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধে দাবী।