জন্ম নিবন্ধনের ফি বাবদ ১ লাখ টাকা ২৯ হাজার টাকা বকেয়া থাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

গত ২০ দিনের বেশি জন্মনিবন্ধনের সার্ভারটি বন্ধ রাখার ফলে জন্মনিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদে এসে প্রতিদিন অভিভাবকগন ফেরত আসতে হচ্ছে এতে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে অভিভাবক ও ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দাদের মধ্যে।

ইউনিয়নের পরিষদের সচিব আলমগীর হোসেনের কারনে এই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সদর ইউনিয়ন বাসী। তিনি গত ২৩ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের যোগদান করেই জন্মনিবন্ধনের এক লক্ষ উনত্রিশ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের হাতে রাখায় কেন্দ্রীয়ভাবে বন্ধ রয়েছে সার্ভারটি।

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়,তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন জন্মনিবন্ধনের চার মাসে এক লক্ষ উনত্রিশ হাজার টাকা টাকা ইউনিয়নের পরিষদের সচিব সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের সার্ভারটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

আরও জানাযায়,গত ২৩ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলমগীর হোসেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের জন্মনিবন্ধনের ৩লক্ষ টাকা জমা না দিয়ে বদলী হয়ে তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে যোগদান করেন। তখন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও তাহিরপুর উপজেলার তৎকালীন ইউএনওকে জন্মনিবন্ধনের টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সচিবের বেতন ভাতা বন্ধ রাখার সুপারিশ করায় বেতন ভাতাদি বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের জন্মনিবন্ধনের টাকা পরিশোধ করার পর তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের বেতন ভাতা নিয়মিত ভাবে পেয়ে যাচ্ছেন। 

স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য ছেলে জন্মনিবন্ধন করতে আসা ভাটি তাহিরপুর গ্রামের রফিক মিয়া জানান গত এক ২০ দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ধরনা দিতেছি কিন্তু ছেলে জন্মনিবন্ধন করাতে পারছি না। সচিব নাকি পূর্বের জন্মনিবন্ধনের টাকা জমা না দেয়ার সার্ভার বন্ধ। এখন জন্মনিবন্ধন ছাড়া ছেলেকে কিভাবে ভর্তি করাব জানি।

এমনি দুর্ভোগের কথা জন্মনিবন্ধন করতে আসা অভিভাবকদের। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও নেই পরিষদে। 

জন্মনিবন্ধনের এক লক্ষ উনত্রিশ হাজার টাকা নিজের কাছে রাখার কথা শিকার করে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলমগীর হোসেন জানান,আগামী সপ্তাহ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করার পর জন্মনিবন্ধনের সার্ভার ওপেন করে দিবে কর্তৃপক্ষ। এমন কেন করলেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোনো জবাব দেন নি।

তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান,আমার ইউনিয়ন পরিষদের জন্মনিবন্ধনের বকেয়া থাকা টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য সচিবকে বার বার বলেছি। তিনি জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে জনগনকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছেন।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা জানান,জন্মনিবন্ধনের টাকা সদর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সরকারী কোষাগারে

জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখায় কারনে সার্ভার বন্ধের বিষয়টি সঠিক হয়ে থাকলে  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।